টার্কি ফার্ম
রংপুর শহরের ভেতরেই একটি খামার৷এখানে পাখির ‘চাষ’ বা ‘উৎপাদন’ করা হচ্ছে৷ নিজেদের প্রচেষ্টায় গঙ্গাচরা চালু হয়েছে এই খামার৷ দেশের ৬৪টি জেলায় তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে৷
যেভাবে শুরু
আমি মামুনুর রাশিদ (মামুন) তার নিজস্ব প্রয়াসে রংপুর শহরের গঙ্গাচরায় গড়ে তুলি এই টার্কি খামার৷ খামারে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ফার্মাসিস্ট আব্দুল আউয়াল।
টার্কির আকার
আমাদের উৎপাদিত টার্কি বড় এবং অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়৷ একটি পুরুষ টার্কির ওজন হয় ১০-১২ কেজি৷ পুরুষ টার্কির তুলনায় স্ত্রী টার্কি আকৃতিতে ছোট এবং ওজনে কম হয়৷ একটি স্ত্রী টার্কি বছরে ৮০-১০০ টি ডিম দেয়৷
রোগ প্রতিরোধ
অনুকুল পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পরিবেশ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর ও নিয়মিত খাবার দিলে টার্কি মুরগি রোগাক্রান্ত হয় না৷আমরা ৪ থেকে ৫ বর্গফুট জায়গা রাখি একটি টার্কির জন্য৷আমরা নিয়মিত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেয়া জরুরি৷ এতে রোগ সংক্রমণ কম হয়৷ চারটি ভ্যাকসিনেশন সিডিউল আছে৷ রানীক্ষেতসহ চারটি রোগের জন্য ভ্যাকসিন দিতে হয়৷
বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি
ইনকিউবেটরের মাধ্যমে আমরা ২৮ দিনে টার্কির বাচ্চা উৎপাদন করি এবং প্রতিমাসে আমার এখানে ৫০ থেকে ১০০ টি বাচ্চা উৎপাদন এবং বাজারজাত হচ্ছে৷ এছাড়া দেশি মুরগির সাহায্যে সনাতন পদ্ধতিতেও ২৮ দিনে বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব৷
Comments
Post a Comment